এ,কে এম গিয়াসউদ্দিন, ভোলা প্রতিনিধি:-
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ভোলার দৌলতখানে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে বাছেদ নামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহাকারীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার বাছেদকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সুত্র জানায় বাছেদ দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরশুভী গ্রামের শাহ আলম মাঝির ছেলে। সে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ও নৈশ প্রহরী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাছেদ তার বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় স্থানীয়রা বাছেদকে হাতেনাতে ধরে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
শুক্রবার ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে বাছেদের বিরুদ্ধে মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
শনিবার ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী আমাদের প্রতিনিধি কে জানান ‘দীর্ঘদিন ধরে দপ্তরি বাছেদ আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসত। এতে আমি রাজি ছিলাম না। গত বৃহপতিবার সন্ধ্যায় আমাকে ঘরের মুখ চেপে ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলায় নিয়ে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘জীবন-জীবিকার নির্বাহের জন্য আমি শ্রমিকের কাজ করি। দুদিন আগে আমি বাড়িতে এসেছি। আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে, এর সঠিক বিচার চাই।
ওই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ফোনে জানানো হয়েছে।
ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোতাহার বেপারী বলেন, ‘বাছেদ আমার বিদ্যালয়ের একজন দপ্তরি। স্থানীয় লোকজন তাকে হাতেনাতে আটক করলে সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। এর কিছুক্ষণ পর থানা থেকে পুলিশ আসে। বাছেদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে এই ধরনের একাধিক মেয়েলি ঘটনার অভিযোগ রয়েছে।
দৌলতখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাদিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন করে বাছেদকে জেলহাজতে সোপর্দ করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment