চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচনে ৫% ভোটকে দেখানো হলো ২২% ভোট । - T-Television Bangladesh

Breaking news

T-Television Bangladesh

POPULAR TV CHANNEL IN THIS WORLD

Sunday, January 19, 2020

চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচনে ৫% ভোটকে দেখানো হলো ২২% ভোট ।


কুতুব উদ্দিন রাজু,চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-
ভোট পড়েছে মাত্র ৫ শতাংশ। কিন্তু দেখানো হয়েছে ২২ দশমিক ৯৪%। আওয়ামী লীগের ক্যাডার-কর্মীরা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদের সহায়তায় ইভিএম মেশিনের পাসওয়ার্ড নিয়ে প্রতি বুথে ৭০ থেকে ৮০টি করে জাল ভোট দিয়েছেন। এভাবে ২২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন বলেই দেখানো হয়েছে। যা ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতি। এটি মধ্যরাতের নির্বাচনের মতো আরেকটি কৌশল। ইভিএম এখন মহাপ্রতারণার নতুন পদ্ধতি।’ এসব অভিযোগ করেছেন সদ্য অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান।

শনিবার ১৮ জানুয়ারী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয় পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ‘জালিয়াতির চিত্র’ তুলে ধরে বিএনপির প্রার্থী দলের চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান জানান, চট্টগ্রামের উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল, বিভিন্ন অনিয়ম এবং ইভিএমে ভোট কারচুপি জাতির সামনে উপস্থাপনের জন্যই এই সংবাদ সম্মেলন।

গত ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এই উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেন, ২২ শতাংশ ভোটের মধ্যে আসলে ভোট পড়েছে ৫%। ১০ শতাংশ ভোট দিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার নিজে। বাকি ভোট দিয়েছে ভোটকেন্দ্র দখল করে পাসওয়ার্ড নিয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।

ভোটকেন্দ্র দখল করে ইভিএমের পাসওয়ার্ড নেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরে আবু সুফিয়ান জানান, ‘নগরীর হামজারবাগ রহমানিয়া স্কুল কেন্দ্রে বেলা ১২টার সময় ২ নম্বর কক্ষে কয়েকজন বহিরাগত সন্ত্রাসী প্রবেশ করেন। তারা নির্বাচন কমিশনের আইটি বিশেষজ্ঞ ও প্রিসাইডিং অফিসার ছোটন চৌধুরীকে নিয়েই সেখানে যান। তার মোবাইল থেকে নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে ডিভাইস নম্বর দিয়ে কোড অথবা পাসওয়ার্ড চাইলে +৮৫৮৪৭৭৬৭+ নম্বরটি তখন দেয়া হয়। তারা এ সময় তিনি বলতে থাকেন, ১০ শতাংশ ম্যাচিং কোড দিয়ে তাড়াতাড়ি ভোট নিয়ে নেন। তখন অন্যজনের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। অবৈধভাবে শুরু করা সেসব ভোটার নম্বর- ৪২২, ৫০২, ৪৯৯ ও ৫৮০।

বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান আরও বলেন, উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রশাসন ও দলীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতি করে জনগণের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এই নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করা যায়। এটি মধ্যরাতের নির্বাচনের মতো আরেকটি কৌশল। ইভিএম এখন মহাপ্রতারণার নতুন পদ্ধতি।  এতে ডিজিটাল ডাকাতির পর অভিযোগ করারও সুযোগ নেই। একজন ভোটার কোথায় ভোটটি দিলেন তা নিজে জানারও সুযোগ নেই।

অভিযোগে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগের রাতে বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও সরকার দলীয় নেতারা সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে কেন্দ্র দখল করেছেন। সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেও কেন্দ্র দখল করা হয়। ভোটগ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশের উপস্থিতিতে নৌকার লোকজন ইভিএমের গোপন বুথে অবস্থান নেন। ভোটাররা ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার পরই ইভিএমের ব্যালট ইউনিটে নৌকার সমর্থকরা ভোট দিয়ে দেন।

তিনি জানান, ভোটগ্রহণের সময়ই অনিয়মের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানকে অভিযোগ করা হলেও তিনি নীরব থাকেন।

ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকা খরচ করে সরকার ও নির্বাচন কমিশন তামাশা করেছে। তামাশার নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, কেন্দ্রীয় নেতা মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, এস এম মামুন মিয়া, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইদ্রিস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here